ফি

রম্য রচনা (জুলাই ২০১৪)

joy biswas
আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে "চাকরি" ভাগ্যের অন্য আরেকটি নাম।আর সরকারি চাকরি পাওয়া তো একেবারে আকাশ-কুসুম কোনো ব্যাপার।আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন যে এই সংকটাপন্ন চাকরির বাজারে সরকারি চাকরি পেলাম।তাও আবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে!।কিন্তু চাকরির ক'দিন যেতেই হাপিয়ে উঠলাম আমলাতান্ত্রিকতা আর দুর্নীতির নমুনা দেখে।একটা সময় ছিল যখন জানতাম ঘুষে ফাইল পাস হয়,কিন্তু এখানে এসে দেখলাম ঘুষ দেওয়ার পরেও ফাইল টেবিল হতে নড়াচড়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।ঘুষ তো একেবারে প্রত্যক্ষ ব্যাপার।
চাকরির দিন পনেরর মাথায় এক ভদ্রলোকের ফাইল আমার হাতে আসে।ভদ্রলোকের কলেজ স্থাপনা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা।যদিও ফাইলের বিবরণ ও কাগজপত্রে আমার চোখে কোনো সমস্যা ধরা দেয়নি,তবুও আমার উপরের কর্তাদের কাছে এ দৃষ্টিশূল ব্যাপার।একদিন ভদ্রলোক আমার কাছে ঘুষ-সমেত উপস্থিত।এত টাকা আমার হাতে দেয়ার পরেও করুণ দৃষ্টিতে আমার কাছে ভদ্রলোকের প্রশ্ন,"স্যার আমার ফাইলটা পাস হবে তো?"।আমি ভদ্রলোককে কোনো প্রকার আশ্বাস দিতে পারলাম না।বললাম,"আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো"।এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ আমার উদয়াস্ত পরিশ্রম করা শুধুমাত্র ফাইলটা উপরের কর্তাদের নজরে আনার জন্য।অবশেষে আমার ব্যক্তিগত রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে ফাইলটার ব্যাপারে আমি উপর কর্তাদের সাথে আলোচনায় বসতে পারলাম।দীর্ঘ আলোচনার পর ফি সমেত(ঘুষ শব্দটা অনেকের কাছে অশ্লীল শোনায়,তাই তারা এটাকে ফি বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে) ফাইলটা তাদের টেবিলে পাসের আশ্বাসে রেখে এলাম...।
এরপর মাস চারেক পরে ভদ্রলোকের ফাইল পাস হল।ভদ্রলোক খুশি হয়ে আমার কাছে আরো কিছু উপরি-পাওনা(ঘুষ) দেয়ার জন্য আসলো।আমি তাকে বললাম,"যথেষ্ট তো নিলাম আপনার থেকে,আর কেন!"।(যদিও ঘুষের সম্পূর্ণ টাকা ফি হিসেবে কর্তাদের ভূড়িতে চালান হয়ে গেছে;তবুও সবকথা যে সবাইকে বলতে নেই!)।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পুলক বিশ্বাস সামাজিক অনাচার ঘুষপ্রথা আমাদের অনেক পুরোনো। এসব এখন ওপেন সিক্রেট। এর আধুনিক নাম হয়তো ফি। যাহোক ভালো লেগেছে। আমার কবিতা পাড়ায় আপনার আমন্তণ রইলো। শুভকামনা জানবেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি যদিও ঘুষের সম্পূর্ণ টাকা ফি হিসেবে কর্তাদের ভূড়িতে চালান হয়ে গেছে;তবুও সবকথা যে সবাইকে বলতে নেই!)। এই হলো আমাদের চাল চরিত্র.............ভালো লিখেছেন.....অনেক ধন্যবাদ আপনাকে................
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু দারুন লিখেছেন। মূল্যবান লেখা। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।আপনাদের মন্তব্যই আমাদের অনুপ্রেরণা।
প্রজ্ঞা মৌসুমী ফি শব্দটাই ছিল হাস্যকর, কটাক্ষের মত তাকিয়ে থাকা একটা শব্দ... যেন একটা কালচারে পরিণত হয়ে যাচ্ছে...
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩ জুন - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪